রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে (রাকাব) দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি পুরনো সিন্ডিকেটের আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। অর্থ আত্মসাৎ, বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বর্তমানে আবারও ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব খাটাচ্ছে বলে জানা গেছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার ওপর মব চাপ সৃষ্টি ও অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, এমন তথ্যও মিলেছে একাধিক অভ্যন্তরীণ সূত্রে।
ব্যাংকের একাধিক উপ-মহাব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তার এই সিন্ডিকেটে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যানও সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে কাজ করছেন, এমন দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাকাবে দীর্ঘদিন ধরে বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করছিল সিন্ডিকেটটি। ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বিষয়টি শনাক্ত করে সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরনের বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত করে। এতে ক্ষুব্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা মব জড়ো করে ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে চাপ প্রয়োগ শুরু করে। পরে স্বাভাবিক বদলি কার্যক্রম শুরু হলেও সিন্ডিকেটের পছন্দসই আদেশ না হলে আবারও ব্যাংকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
উপ-মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মব তৈরির অভিযোগ। জানা যায়, ঋণ আদায় বিভাগ ২ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমানকে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ পদায়নের পর তিনি স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক দিয়ে ব্যাংকের সামনে মব তৈরি করেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আলটিমেটাম দেন।
চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার ২এর ১০.১ (ঘ)(অ) ধারা অমান্য করে বদলি প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনামূলক পত্র পাঠান। সার্কুলার অনুযায়ী বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে চেয়ারম্যান বা পরিচালকরা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। ব্যাংকজুড়ে গুঞ্জন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা বদলি বাণিজ্যের আর্থিক সুবিধা চেয়ারম্যান পর্যন্ত পৌঁছায়।
বিতর্কিত উপ-মহাব্যবস্থাপকদের পদায়ন নিয়ে প্রশ্ন: সম্প্রতি লালমনিরহাট জোনে উপ-মহাব্যবস্থাপক খায়রুল ইসলামকে পুনরায় পদায়ন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল এবং পুনরায় পদায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অসন্তোষ প্রকাশ করে। এর পরেও চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তাঁকে বদলিতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালামের বিরুদ্ধে তছরূপের অভিযোগ: আইসিটি অপারেশন বিভাগের উপ-এমডি মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগে দুদক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পূর্বে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে বিষয়টি পুনরায় দুদকের নজরে আসে। অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে আইসিটি সিস্টেম বিভাগে রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন এবং আর্থিক সুবিধা দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন এবং সিন্ডিকেটের মব তৈরিতেও ভূমিকা রাখছেন।
তাঁর সহযোগী হিসেবে আইন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন এবং এমটিএফপি অ্যান্ড বিসিডি বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে রাশেদুল ইসলামের দপ্তরে উপস্থিতি থাকে না এবং তিনি দাবি করেন, আমাকে বদলি করার ক্ষমতা কারো নেই।
ঘটনাগুলোর বিষয়ে রাকাব কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে ব্যবস্থাপনা সূত্র জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপ-মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রাজশাহী কৃষি উনয়ন ব্যাংকের (রাকাব) আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ আবুল কালামের বিরুদ্ধে ডিজিটাইজেশনের নামে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি অনুসন্ধানকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান মোঃ আমির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে। গত মাসের (৩০ অক্টোবর) রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে বিভিন্ন রেকর্ডপত্র ও তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ আবুল কালামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য Annual Maintenance Contract (AMC) of Network devices and security systems for Rajshahi Krishi Unnayan Bank (Tender ID: 744072) শীর্ষক প্রকল্পের বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে, সেই তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন। ৪ নভেম্বরের মধ্যে এই নথি দুদক কার্যালয়ে সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয় এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনুসন্ধানকারী দলে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান।
ব্যাংকের একাধিক উপ-মহাব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তার এই সিন্ডিকেটে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যানও সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে কাজ করছেন, এমন দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাকাবে দীর্ঘদিন ধরে বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করছিল সিন্ডিকেটটি। ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বিষয়টি শনাক্ত করে সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরনের বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত করে। এতে ক্ষুব্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা মব জড়ো করে ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে চাপ প্রয়োগ শুরু করে। পরে স্বাভাবিক বদলি কার্যক্রম শুরু হলেও সিন্ডিকেটের পছন্দসই আদেশ না হলে আবারও ব্যাংকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
উপ-মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মব তৈরির অভিযোগ। জানা যায়, ঋণ আদায় বিভাগ ২ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমানকে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ পদায়নের পর তিনি স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক দিয়ে ব্যাংকের সামনে মব তৈরি করেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আলটিমেটাম দেন।
চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার ২এর ১০.১ (ঘ)(অ) ধারা অমান্য করে বদলি প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনামূলক পত্র পাঠান। সার্কুলার অনুযায়ী বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে চেয়ারম্যান বা পরিচালকরা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। ব্যাংকজুড়ে গুঞ্জন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা বদলি বাণিজ্যের আর্থিক সুবিধা চেয়ারম্যান পর্যন্ত পৌঁছায়।
বিতর্কিত উপ-মহাব্যবস্থাপকদের পদায়ন নিয়ে প্রশ্ন: সম্প্রতি লালমনিরহাট জোনে উপ-মহাব্যবস্থাপক খায়রুল ইসলামকে পুনরায় পদায়ন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল এবং পুনরায় পদায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অসন্তোষ প্রকাশ করে। এর পরেও চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তাঁকে বদলিতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালামের বিরুদ্ধে তছরূপের অভিযোগ: আইসিটি অপারেশন বিভাগের উপ-এমডি মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগে দুদক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পূর্বে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে বিষয়টি পুনরায় দুদকের নজরে আসে। অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে আইসিটি সিস্টেম বিভাগে রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন এবং আর্থিক সুবিধা দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন এবং সিন্ডিকেটের মব তৈরিতেও ভূমিকা রাখছেন।
তাঁর সহযোগী হিসেবে আইন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন এবং এমটিএফপি অ্যান্ড বিসিডি বিভাগের মুখ্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে রাশেদুল ইসলামের দপ্তরে উপস্থিতি থাকে না এবং তিনি দাবি করেন, আমাকে বদলি করার ক্ষমতা কারো নেই।
ঘটনাগুলোর বিষয়ে রাকাব কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে ব্যবস্থাপনা সূত্র জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপ-মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রাজশাহী কৃষি উনয়ন ব্যাংকের (রাকাব) আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ আবুল কালামের বিরুদ্ধে ডিজিটাইজেশনের নামে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি অনুসন্ধানকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান মোঃ আমির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে। গত মাসের (৩০ অক্টোবর) রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে বিভিন্ন রেকর্ডপত্র ও তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ আবুল কালামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য Annual Maintenance Contract (AMC) of Network devices and security systems for Rajshahi Krishi Unnayan Bank (Tender ID: 744072) শীর্ষক প্রকল্পের বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে, সেই তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন। ৪ নভেম্বরের মধ্যে এই নথি দুদক কার্যালয়ে সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয় এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনুসন্ধানকারী দলে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান।
মোঃ মাসুদ রানা রাব্বানী :